সোমবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৬

"গুল মাকাই থেকে মালালা হয়ে ওঠা"


Malala Yousafzai
পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকার অচেনা এক কিশোরী কীভাবে হয়ে উঠলেন আজকের মালালা? সেই অজানা কাহিনি শোনাচ্ছেন বিবিসির এক সময়ের দক্ষিণ ও পশ্চিম এশিয়া বিভাগের নির্বাহী সম্পাদক নাজেস আফরোজ
Malala at Hospital
Malala on the way to school
গুল মাকাই ডায়েরি লিখত, প্রতিদিন। মাত্র তিন-চার স্তবক, কখনো একটি-দুটি। নিতান্ত বালিকাসুলভ ভাষায়, অতি সহজ-সরল জবানে লেখা সেই ডায়েরি। স্কুলে যেতে তার কতটা ভালো লাগে, তা লিখত। পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকা মিনগোরা থাকে সে। শহরে তালেবানি ফতোয়ার জন্য আর স্কুল যেতে পারবে কি না, সে বিষয় নিয়ে তার আশঙ্কার কথা বারবার ফুটে উঠেছে সেই রোজনামচাতে। রেডিওর মাধ্যমে বা পরিবারের বড়দের কাছ থেকে বাইরের পরিস্থিতি গুল মাকাই জানতে পারত। সে নিজের কাছেই জানতে চাইত, কেন ওর ভাই স্কুলে যেতে পারবে আর ও পারবে না। লিখত গোলাগুলির শব্দে রাতে ঘুম না হওয়ার বা দুঃস্বপ্নের কথা। বিবিসির উর্দু ওয়েবসাইটে শহরের কোনো মেয়ের এমন একটি ডায়েরি প্রকাশিত হচ্ছে আর তা নিয়ে বাজার-হাটে আলোচনা হচ্ছে, বাবার কাছে শুনে গুল মাকাই খুবই খুশি আর উত্তেজিত।
২০০৮ সালে মাওলানা ফজলুল্লাহর নেতৃত্বে পাকিস্তানি তালেবানের একটি শাখা দেশের উত্তর-পশ্চিমের সোয়াত উপত্যকা দখল করে। পশতু জাতি-অধ্যুষিত এই উপত্যকা চিরকালই শিক্ষার দিকে থেকে পাকিস্তানের বাকি অংশের থেকে এগিয়ে। মেয়েদের শিক্ষার হার বরাবরই খুব উল্লেখযোগ্য। পাকিস্তানি রাষ্ট্রের নীরব দর্শকজনিত ভূমিকার সুযোগ নিয়ে তালেবান সোয়াত উপত্যকাকে তাদের একটি মুক্তাঞ্চলে পরিণত করে তোলে এবং কট্টর ইসলামি শরিয়াহ আইন প্রণয়নের নামে মেয়েদের লেখাপড়া নিষিদ্ধ করে। একই সঙ্গে তারা প্রায় ১৫০টি স্কুল বোমা মেরে ধ্বংস করে দেয়, যেখানে মেয়েরা লেখাপড়া করতে যেত।
এই পরিস্থিতি মেয়েদের শিক্ষার ওপরে কী প্রভাব ফেলছে, সেটি জানার জন্য বিবিসির উর্দু ওয়েবসাইট একটি উদ্যোগ নেয়। সে উদ্যোগ থেকেই গুল মাকাইয়ের রোজনামচা শুরু। বিবিসির তৎকালীন দক্ষিণ ও পশ্চিম এশিয়া বিভাগের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে এই বিশেষ সম্পাদকীয় উদ্যোগের পেছনে আমার কিছুটা ভূমিকা ছিল। সেই সময় বিবিসি উর্দু বিভাগের পেশোয়ার সংবাদদাতা তাঁর স্কুলশিক্ষক এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর ১৩ বছরের মেয়েকে দিয়ে একটি ডায়েরি লেখানোর ব্যবস্থা করেন। যেহেতু একটি বালিকা এই ডায়েরির সঙ্গে যুক্ত, তাই বিবিসির নিয়ম অনুযায়ী সযত্নে তার পরিচয় গোপন রাখা হয়। সেই বালিকার ছদ্মনাম দেওয়া হয় গুল মাকাই। নামটি যে তার খুব পছন্দ, সেটাও বালিকাটি ডায়েরিতে জানাতে ভুল করেনি। হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া সারবস্তু এবং বিবিসির ইংরেজি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হওয়ার কারণে অচিরেই বিশ্বের সংবাদমাধ্যমে সেই ডায়েরি সংবাদ হিসেবে জায়গা করে নেয়। বহু সংবাদপত্র ও ওয়েবসাইট সেই ডায়েরি নিয়মিত পুনঃপ্রকাশ করে। তিন মাস ধরে প্রকাশ করার সময় এই ডায়েরি পড়ে বুঝতে কোনো অসুবিধে হয়নি যে সে অতি বুদ্ধিমতী, সপ্রতিভ ও উৎসুক একটি কিশোরী।
এর পরে ২০১১ সালে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে দেখতে পাই, মালালা ইউসুফজাই নামের এক কিশোরী নিয়মিত সাক্ষাৎকার দিচ্ছে, নানান অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছে আর জানাচ্ছে যে সে-ই ছিল বিবিসি ডায়েরির গুল মাকাই। গুল মাকাইয়ের মালালা হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমের প্রচারের আলো ওর ওপর প্রবলভাবে এসে পড়ে। ওর এই আত্মপ্রকাশ দেখে চিন্তিত হয়েছিলাম এই ভেবে যে কেন ওর পরিবার এমন সিদ্ধান্ত নিল। ওই ডায়েরি পাকিস্তানে বা বাইরে যে আলোড়ন ফেলেছিল, তাতে ওই পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা করার যথেষ্ট কারণ ছিল। শেষ পর্যন্ত সেই আশঙ্কাই সত্যি হলো। স্কুল থেকে ফেরার পথে মালালা আর তার দুই বান্ধবী তালেবানের গুলিতে জখম হয়।
সুস্থ হয়ে উঠে ক্রিস্টিনা ল্যাম্বের সহযোগিতায় মালালা ওর আত্মজীবনী প্রকাশ করার পর আবার প্রচারের প্রখর আলোয় এসে পড়ে। প্রেসিডেন্ট ওবামা ও তাঁর স্ত্রী মিশেলের আমন্ত্রণে মালালা হোয়াইট হাউসে গেছে; নিমন্ত্রণ পেয়েছে ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথের কাছ থেকেও। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে মালালা মেয়েদের শিক্ষা নিয়ে ভাষণ দিয়েছে; পৃথিবীর এমন কোনো টিভি চ্যানেল নেই, যেখানে ওর সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়নি।
অন্যদিকে, পাকিস্তানে চলছে মালালা এবং তার ওপর আক্রমণের ঘটনার পেছনে ষড়যন্ত্র খোঁজা। মালালাকে নাকি পশ্চিমি কোনো দেশের গুপ্তচরেরা শিশুবয়সে মিনগোরাতে রেখে গিয়েছিল ভবিষ্যতে পাকিস্তানের দুর্নাম করার জন্য। এমনকি এও বলা হচ্ছে যে ওই ঘটনা আদতেই ঘটেনি, মাথায় গুলি লাগা থেকে অস্ত্রোপচার—গোটাটাই সাজানো! পাকিস্তানি সমাজের এমনই করুণ অবস্থা যে এ ধরনের চরম আজগুবি সব গুজব আপাতনির্ভরযোগ্য প্রধান সংবাদপত্রে জায়গা পাচ্ছে। কিছু পাকিস্তানি সাংবাদিক মালালার বাবার উচ্চাশার কথাও উল্লেখ করে চলেছেন।
১৬ বছরের এক কিশোরীকে ঘিরে পশ্চিমি দেশগুলোর এই কাড়াকাড়ি উদ্দেশ্য নিয়ে গত বছর থেকেই বিতর্ক উঠেছে। এ বছর নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার পর সেই বিতর্ক আরও বাড়ল। এরা ‘পিছিয়ে’ থাকা সমাজের একটি মেয়ের ‘মহান রক্ষাকর্তা’র ভূমিকা নিচ্ছে কি না, সেটা বিতর্কের একটি দিক। অন্যদিকে আছে অতি আলোচিত প্রসঙ্গ, পশ্চিমের সঙ্গে ইসলামের সংঘাতের ভৌগোলিক রাজনীতি। মালালা এখন বিশ্বরাজনীতির খেলায় একটি ঘুঁটিতে পরিণত হয়ে গেল কি না, তাও অনেককে ভাবাতে বাধ্য করছে।
ধর্মীয় মৌলবাদের মোকাবিলায় পাকিস্তান রাষ্ট্রের ব্যর্থতা নতুন কিছু নয়। একই সঙ্গে ১৯৮০-র দশক থেকে পাকিস্তান-আফগানিস্তানে পশ্চিমের দেশগুলোর অতি সংকীর্ণ বিদেশ ও নিরাপত্তানীতি গোটা অঞ্চলকে অস্থির করে তুলেছে; শয়ে শয়ে মানুষকে কট্টর মৌলবাদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই পরিস্থিতি শুধু মালালা নয়, আরও অনেক কিশোর-কিশোরীকে জীবন-মরণের মুখে এনে দাঁড় করাচ্ছে প্রতিদিন। বিশদে তো দূরস্থ, পাদটীকা হিসেবেও এরা কোনো প্রতিবেদনে স্থান পায় না। যেমন মালালার সঙ্গে ওর আরও যে দুই বান্ধবী তালেবানের গুলিতে জখম হয়েছিল, তাদের কোনো খবর কারও কাছে নেই।
কেন মালালাকে গুল মাকাই হিসেবে জনসমক্ষে আসতে হলো, আর কীভাবে ওই অঞ্চলের সামাজিক-রাজনৈতিক ব্যাধি দূর করা যায়, তা নিয়ে বিশেষ কোনো প্রয়াস চোখে পড়ে না। এটা না করে শুধু মালালাকে ধরেই পশ্চিমি জগতের প্রগতিশীল অংশ নিজেদের বিবেক দংশনের জ্বালা প্রশমন করছে, আর রাজনীতির হোতারা ‘ইসলাম বনাম পশ্চিমি সভ্যতা’র লড়াইয়ের যৌক্তিকতা খুবই সূক্ষ্মভাবে প্রতিষ্ঠা করে চলেছেন।

"ভুজিসিক নিক"


নাম : ভুজিসিক নিক
সবই আছে, খালি তিনটি হাত আর দুইটি পা নাই। তৃতীয় হাত বুঝেছেন তো? সবচেয়ে বড় হাত, অজুহাত।
উনি শামুকের মত শরীর বাকিয়ে চলাফেরা করেন। আই মিন, মাথা প্রথমে ফ্লোরে ঠেকান। তারপর শরীরকে ভাজ করে সামনে এগোন।
পা না থাকলেও আল্লাহ পাক তার শরীরের এক চিপা দিয়ে দুইটি আঙ্গুল বের করে দিয়েছেন। উনি দুই আঙ্গুল দিয়ে মিনিটে ৪৭টি ওয়ার্ড টাইপ করতে পারেন।
উনি এই দুই আঙ্গুল নিয়ে দুইবার গ্রাজুয়েশান করেছেন। ফাইনান্সিয়াল প্লানিং ও অ্যাকাউন্টিং। আমরা অনেকে অবশ্য দুইবার জন্ম নিয়েও দুইবার গ্রাজুয়েশানের কথা ভাবতেই পারি না।
উনি একজন মটিভেশনাল স্পিকার। ৫৩ বার রিজেক্ট হওয়ার পর উনি প্রথম বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগ পান। বক্তৃতার মঞ্চে নুলা লোককে উঠতে দেখে ১০০০ জন শ্রোতার মধ্য থেকে ৯৯০ জন উঠে চলে যান।
ঐদিন কেবল মাত্র ১০ জন শ্রোতা অবশিষ্ট ছিলেন। কিন্তু উনি টিল নাউ, মাত্র ৩০ লক্ষ লোককে অনুপ্রাণিত করেছেন।
উনি লাভ ম্যারেজ করেছেন। উনার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো, "আপনার ছেলে পেলে হলে তাদেরও যদি হাত পা না থাকে, তাহলে কি হবে।" উনি উত্তরে বলেছিলেন, "আমি তাকে আরেকটি ভুজিসিক নিক বানাবো।"
# RESPECT
♡♡♡
Copied

সোমবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৬

"সফলতার গল্প"

আসুন সফলতার গল্প শুনাইঃ
প্রচণ্ড ইচ্ছেশক্তি আর পরিশ্রম মানুষকে
.
প্রথমেই আসে পরিশ্রমের ব্যাপারটা। যারা আপনার চাইতে এগিয়ে, তারা আপনার চাইতে বেশি পরিশ্রমী। এটা মেনে নিন। ঘুমানোর আনন্দ আর ভোর দেখার আনন্দ একসাথে পাওয়া যায় না। শুধু পরিশ্রম করলেই সব হয় না। তা-ই যদি হত, তবে গাধা হত বনের রাজা। শুধু পরিশ্রম করা নয়, এর পুরস্কার পাওয়াটাই বড় কথা।
.
প্রচন্ড ইচ্ছেশক্তির জোরেই ৯ মাসের গর্ভবতী সুপর্ণা দে ৩৫ তম বিসিএস এ মেধাতালিকায় ১১ তম হতে পেরেছে।
.
সুপর্ণা দে নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ৩৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ পরীক্ষার আগের দিন প্রসবব্যথা উঠল। রাতে নেওয়া হলো হাসপাতালে। ভোর সাড়ে চারটায় তাঁর কোলজুড়ে এল ছেলে। সকাল ১০টায় পরীক্ষা। হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে কেন্দ্রে গেলেন। তিন ঘণ্টা পরীক্ষা দিয়ে ক্লান্ত শরীরে ফিরলেন নবজাতকের কাছে।
অদম্য সেই ইচ্ছাশক্তির জোরেই সুপর্ণা দে এখন বিসিএস ক্যাডার। ৩৫তম বিসিএসে (প্রাণিসম্পদ) সম্মিলিত মেধা তালিকায় ১১তম হয়েছেন তিনি।
.
সুপর্ণা দে যদি অসুস্থ শরীরে ৩ঘন্টা লিখিত
পরীক্ষা দিয়ে মেধাতালিকায় ১১ তম হতে পারে; তবে ইতিহাসে আর কী এমন অসাধ্য থাকতে পারে??
.
না, এখানে কোন সিনেমার কাহিনী বলা হয় নি।
এ যে বাস্তব জীবনের গল্প। এই মেয়েকে আমার স্যালুট। বিসিএস ক্যাডার বড় কথা নয় মেয়েটি তার স্বপ্ন পূরনে অটুট ছিল। আপনারা মেয়েরা যারা লেখাপড়া করেছেন তারা যে চাইলেই ইচ্ছাশক্তির জোরে অসাধ্যকে সাধন করতে পারেন এই ঘটনা তাঁর প্রমান। যারা নানা সংকটে, নানা সমস্যায় ভেঙে পড়েন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি মনে সাহস রাখুন। ইচ্ছাশক্তি বাড়ান। জয় আপনার হবেই। শুভেচ্ছা সেই মেয়েটিকে। শুভেচ্ছা যারা লেখাপড়া করছে সংগ্রাম করছেন সেইসব মেয়েদের।
.
৩৩ তম বিসিএস এ প্রিলিতে ফেল করা ওয়ালিদ যদি ৩৪ তম বিসিএস এ ফার্স্ট হতে পারে; টমাস এডিসন যদি হাজারবার ব্যর্থ হওয়ার পর ও হাল ছেড়ে না দেয়ার কারণে ইতিহাস বিখ্যাত বিজ্ঞানী হতে পারেন; হরপ্রসাদ শাস্ত্রীকে যদি ২ বারের চরম ব্যর্থতা ও "চর্যাপদ " আবিষ্কারের পথ থেকে এক চুল ও বিচ্যুত করতে না পারে;মাধ্যমিক ও পাশ না করা নজরুলের বই যদি দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঠ্যপুস্তক হতে পারে; তবে আমার কাছে অসাধ্য বলতে কিছুই থাকতে পারেনা।
.
স্কুলের বাস্কেটবল টিম থেকে বাদ পড়া ছেলেটি যদি পরের দুই যুগে বাস্কেটবলের ইতিহাসে বেস্ট প্লেয়ার মাইকেল জর্ডান হতে পারে, ১১ বছর বয়সে দল থেকে বাদ পড়া হরমোনজনিত সমস্যায় ভোগা ছেলেটি যদি লিওনেল মেসি হতে পারে, ৮ম বার হেড়ে যাওয়ার পরে ও যদি আব্রাহাম লিংকন ১৬ তম প্রেসিডেন্ট হতে পারে, আমরা কেন পারবো না?
.
সুশান্ত পালের কথা আমরা কে না শুনছি?
অনার্সে ২.৭৪ সিজিপিএ পেয়ে ৩০ তম বিসিএসে আর আইবিএ ভর্তি পরীক্ষায় ফার্স্ট হয়ে দেখিয়ে দিছে, অসম্ভব বলতে ডিকশনারিতে কোন শব্দ নাই। অদম্য ইচ্ছা শক্তি আর অক্লান্ত পরিশ্রমের দ্বারা সব কিছু জয় করা যায়।
এই সুশান্ত দাদা-ই এখন বিভিন্ন ভার্সিটিতে বিনা পয়সায় ক্যারিয়ার আড্ডা,পরামর্শ দিয়ে হাজার হাজার মানুষকে সপ্ন দেখতে শিখায়। দাদার লেখা গুলো পড়লেই বুজবেন তিনি কতটা জ্ঞানের অধিকারী, অসাধারন মেধাবী একটা মানুষ।
.
অনেকেই বলে প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়ে নাকি লাইফে কিছু করা সম্ভব না। তাদের জন্য আমার কাছে বেষ্ট উদাহরণ 'মাশরুফ হোসেন' দাদা। (বিসিএস ক্যাডার) যিনি নর্থ সাউদ ইউনিভার্সিটি তে পড়ে বাংলাদেশ পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট হতে পেরেছেন।
.
শোভন হোড় নামে এক ছেলে ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষায়, পুলিশে ৫ম হয়েছে। জীবন যাকে কিছুই দেয়নি, পদে পদে বঞ্চিত, নিগৃহীত হয়েছে সব জায়গাতেই।শারীরিক কিছু প্রতিবন্ধকতার কারণে ও অনেকবেশি আত্মবিশ্বাসহীনতায় ও হীনমন্যতায় ভুগত। সে ও প্রশাসন ক্যাডারে মেধাতালিকায় ১ম ১৫ জনের মধ্যে আছে।
সপ্ন পূরনের লক্ষ্য যদি অটুট থাকে সফলতা কোথায় পালাবে?
.
আসুন আরো কিছু সফল ব্যাক্তিদের আপনার চোখে আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছি যারা প্রচন্ড ইচ্ছেশক্তির জোড়ে আজ পৃথীবির কাছে পরিচিত।
.
ফোর্ড মোটর এর মালিক হেনরি ফোর্ড ঠিকভাবে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেননি তবুও তিনি বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ট গাড়ি কোম্পানির মালিক হতে পেরেছিলেন।
.
শচীন টেন্ডুলকার দশম শ্রেনীতে পরীক্ষায় ফেল করেছিলেন।
.
বিল গেটস তার ইউনিভার্সিটির পড়াশোনা শেষ করতে পারেন নি।
.
এ.আর রহমানের বাবা ছোট বেলাতেই মারা গিয়েছিলেন। তবুও তিনি আজ বিশ্বের উল্লেখ যোগ্য সঙ্গীতকার এবং ভারতের শ্রেষ্ট সঙ্গীতকারে পরিণত হয়েছেন।
.
আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন মুচির দোকানে কাজ করতেন।
.
আবুল কালাম (ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি) ছিলেন গরীব ঘরের সন্তান। তাঁর বাবা ছিলেন একজন মাঝি। তবুও তিনি একজন বিখ্যাত বিজ্ঞানী হতে পেরেছিলেন।
.
২৫ বছর বয়সে ভারতের রজনিকান্ত ছিলেন একজন বাস কন্ডাকটর।
.
বার্সান ভাই পাটেল নিরমা কোম্পানির মালিক। তিনি অর্ধেক জীবন সাইকেলে করে নিরমা বিক্রি করে কাটিয়ে দেন। আর এখন……..
.
নিকোলাস ক্রেজ 'ফেয়ারফ্যাক্স' থিয়েটারে পপকর্ন বিক্রি করতো।
.
গায়ক বন জোভি প্রথম জীবনে বাড়িঘর সাজানোর ডেকোরেটরের কাজ করতো।
.
আমার প্রিয় অভিনেতা 'ক্যাপ্টেন জ্যাক স্প্যারো' খ্যাত জনি ডেপ ছোটোবেলায় রাস্তায় রাস্তায় বল পয়েন্ট কলম বিক্রি করতো!
.
বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খান মুম্বাইতে এসে বেঞ্চে ঘুমাতেন,প্রতিদিন কাজ খোজার জন্য বের হওয়ার আগে বন্ধুর কাছে ২০ টাকা করে ধার নিতেন।
.
বিস্ময়কর ফুটবলার "মেসি" একসময় নিজের ফুটবলের ট্রেনিং এর খরচ যোগাতে চা দোকানে কাজ করতেন।
.
আন্ড্রু কার্নেগী প্রচুর গরীব ঘরের ছেলে ছিলেন। তিনি একটি খামারে কাজ করতেন। পরে তিনি আমেরিকার অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধনী ব্যক্তি হয়েছিলেন।
.
হলিউড অভিনেতা ব্রাড পিট প্রথম জীবনে 'এল পল্লো লোসো' নামের এক রেস্টুরেন্টে মোরগের ড্রেস পরে হোটেল বয় এর কাজ করতো।
.
থমাস এলভা এডিসনকে ছোটবেলায় সবাই বোকা, গাধা বলে রাগাত। তিনি পড়াশোনায় ভালো ছিলেন না। তবু তিনি একজন বিখ্যাত বিজ্ঞানী হতে পেরেছিলেন।
.
শেষ কথা একটাই,
“ সাফল্যের জন্য অসম্ভব পরিশ্রম করতে হবে।" নো শর্টকাটস্।
সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিতে পারে।